চাকরির পরীক্ষায় প্রস্তুতির পূর্বশর্ত
সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রম
বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি
বিসিএস
কথাটি
শুনলেই
মনের
ভিতর
কেমন
একটা
ক্যাডার
ক্যাডার
ভাব
চলে
আসে। একবার বিসিএস
ক্যাডার
হতে
পারলেই
সম্মান, ক্ষমতা
ও অর্থ
সবই
পাওয়া
যাবে। তবে স্বপ্ন
দেখার
আগে
আপনাকে
ভাবতে
হবে
আপনি
বিসিএস
পরীক্ষার
প্রস্তুতিতে
কেমন
সময়
দিতে
পারবেন। এটি বাংলাদেশের
সর্বোচ্চ
পরীক্ষা। এখানে টিকতে
হলে
আপনাকে
কয়েকটি
ধাপ
পার
করতে
হবে। এর জন্য
লেখাপড়ার
পেছনে
আপনাকে
অনেক
সময়
দিতে
হবে। আর বিসিএস
হচ্ছে
একটি
দীর্ঘ
প্রক্রিয়া। সমস্ত প্রক্রিয়া
শেষ
হতে
কমপক্ষে
২ বছর
চলে
যায়। আপনার যদি
প্রস্তুতি
নেওয়ার
মত
ধৈয্য, সময়
এবং
কঠোর
পরিশ্রম
করার
মানসিকতা
থাকে
তাহলে
আপনি
আর
অন্য
কিছু
না
ভেবে
আজ
থেকেই
বিসিএস-এর
জন্য
প্রস্তুতি
শুরু
করে
দিন।
ব্যাংক-এ চাকরির প্রস্তুতি
ব্যাংকের চাকরিতে বর্তমানে বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেশি হওয়ায় তরুন প্রযন্ম ব্যাংকের চাকরির প্রতি ঝুকছে। তাছাড়া ব্যাংকে নিয়োগের সংখ্যাও অনেক বেশি। আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ব্যাংকের চাকরি হতে পারে আপনার সঠিক পছন্দ। কারণ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার সকল প্রশ্নই ইংরেজি মাধ্যমে হয়ে থাকে।
তবে ইংরেজিতে দক্ষ
হওয়ার
পাশাপাশি
গণিতেও
আপনাকে
ভালো
করতে
হবে। আপনি যদি
সঠিক
ভাবে
লেখাপড়ার
পিছনে
সময়
দিয়ে
লেগে
থাকতে
পারেন
তাহলে
ব্যাংকে
ভালো
করা
আপনার
পক্ষে
সহজ
হবে। তাই আপনার
যদি
ব্যাংকার
হওয়ার
ইচ্ছা
থাকে
তাহলে
দেরি
না
করে
আজই
প্রস্তুতি
শুরু
করে
দিন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিযোগের প্রস্তুতি বিসিএস ও ব্যাংকের তুলনায় কিছুটা সহজ। তবে বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হওয়ায় পরীক্ষা পূর্বের তুলনায় অনেকটা কঠিন হয়েগেছে। আবার এখানে প্রতিযোগীও অনেক বেশি। তবে আশার কথা হলো এখানে প্রতিযোগি বেশি হলেও ৫০%-৬০% পরীক্ষার্থী কোন প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
আবার অনেকের চিন্তাভাবনা থাকে অসদুপায় অবলম্বন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক স্বচ্ছ। অসদুপায় অবলম্বন করে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অনেক কঠিন। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন তাহলে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সহজেই ভালো করতে পারবেন। তবে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের জন্য কিছুটা সহজ। মেয়েদের জন্য এলাকা ভেদে ৬০-৬৫ মার্ক পেলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর ছেলেদের জন্য ৬৫-৭৫ পর্য়ন্ত লাগতে পারে।
আপনার যদি
শিক্ষক
হওয়ার
মত
মহান
পেশায়
নিজেকে
নিয়োজিত
করার
স্বপ্ন
থাকে
তাহলে
সেই
অনুযায়ী
প্রস্তুতি
শুরু
করুন। প্রাইমারীর জন্য কোন কোন বিষয় গুরুত্ব সহকারে পড়বেন জানতে ক্লিক করুন। প্রাইমারীর প্রস্তুতির জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিতের বেসিক বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। সেই সাথে বিগত সালের পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে বেশি বেশি। প্রাইমারীতে বিগত সালের প্রশ্ন হতেও বেশ কিছু প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। আবার এর মাধ্যমে আপনি প্রশ্নের ধরন এবং আপনার প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরি
আমাদের দেশের চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে থাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে। এখানে বিভিন্ন পদে বিভিন্ন যোগ্যতায় লোক নিয়োগ করে থাকে। তবে অষ্টম শ্রেণি পাশ থেকে এইচএসসি পাশ শিক্ষাগত যোগ্যতার পদ সংখ্যাই বেশি। অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি এধরণের চাকরির প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করুন। মন্ত্রণালয়ের চাকরির পরীক্ষার সিলেবাসের জন্য ক্লিক করুন
কখন চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন?
আমরা অনেকক্ষেত্রে যে ভুলগুলো করে থাকি তা হলো লেখাপড়া শেষে চাকরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। এটা মোটেও উচিত নয়। আপনার যদি তৃতীয় ও চতুর্থ শেণির চাকরির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে এইচএসসি পাশের পর থেকেই চাকরিতে আবেদন শুরু করুন এবং প্রস্তুতি নিন। সেই সাথে আপনার একাডেমিক শিক্ষাও চালিয়ে যান। কারণ মন্ত্রণালয়ের এসব চাকরির পরীক্ষা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক থেকে দুই বছর পরেও হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগে। তাই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে যথা সময়ে, তবেই আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন।
এবার উপরোক্ত আলোচনা থেকে চাকরির ধরণ অনুযায়ী যেটা আপনার জন্য উপযুক্ত মনে হবে সেটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিন। তবে সব ধরণের চাকরির প্রস্তুতি একসাথে নিতে যাবেন না। তাতে একটিরও প্রস্তুতি ঠিকঠাক হবেনা। পরিকল্পনা শেষে হলে এবার আপনাকে শুরু করতে হবে আসল কাজ অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম। প্রতিদিন রুটিন মাফিক পড়া শুরু করুন। পড়তে মন না চাইলেও পড়ুন। কষ্ট হলেও পড়ুন। সিলেবাস অনুযায়ী অধ্যায় ভিত্তিক পড়ুন।
তবে একদিনে সব বই শেষ করার কথা চিন্তা করবেন না। যতটুকু আপনার মস্তিস্ক গ্রহণ করতে পারে ততটুকু পড়ুন। একটু বিরতি দিন, আবার পড়ুন। মাঝে মাঝে সুশান্ত পাল স্যার, গাজী মিজানুর রহমান স্যার, আইমান সাদিক স্যার সহ অনেকের মটিভেশনাল কথা শুনুন। পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন।
মনে রাখবেন অনেক প্রতিযোগীর মধ্যে আপনাকে সেরা হতে হলে কঠোর পরিশ্রম তো করতেই হবে। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা আর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে প্রস্তুতি শুরু করুন, সফলতা আসবেই। সকলের জন্য শুভকামনা।
1 মন্তব্যসমূহ
Thanks
উত্তরমুছুন