কবিতা সম্ভার
ছোট বেলায় আমরা প্রত্যেকেই কতই না আনন্দের সাথে সুর করে পড়তাম “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে”, “বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ”, “আমাদের দেশ তারে কত ভালোবাসি”, আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর ইত্যাদি কবিতা। কি সুন্দর ছিল সেই কবিতাগুলো! পড়লেই মন ভরে যেত। অনেকে আমরা হয়তো বই পড়তেই শিখিনি কিন্তু তখনেই অন্যের মুখে মুখে শুনে কবিতা মুখস্ত হয়ে গেছে। পুরোনো সেই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলার নয়। সেই রকম কিছু কবিতা আজকে তুলো ধরলাম আপনাদের জন্য। যেন আবার সেই পুরোনো দিনে ফিরে যেতে পারি আমরা সকলেই।
১
আমাদের গ্রাম
বন্দে আলী মিঞা
আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর
থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর।
পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই
একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
হিংসা ও মারামারি কভু নাহি করি,
পিতা-মাতা গুরুজনে সদা মোরা ডরি।
আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ।
মাঠভরা ধান আর জলভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি।
আমগাছ জামগাছ বাঁশ ঝাড় যেন,
মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন।
সকালে সোনার রবি পূব দিকে ওঠে
পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে।
(২)
আমাদের ছোট নদী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,
এক ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শিয়ালের হাঁক।
তীরে তীরে ছেলেমেয়ে নাহিবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচলে ছাঁকিয়া তারা ছোট মাছ ধরে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভরো ভরো,
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।
৩
কাজলা দিদি
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
সরকারি চাকরির প্রস্তুতি ও সিলেবাস পেতে পড়ুন
বার বার পড়ার পরেও যাদের পড়া মনে থাকেনা তাদের জন্য ম্যাজিক
বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষার ফলাফল, প্রশ্ন-সমাধাণ, সাজেশন ইত্যাদি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাছাড়া আমাদের ফেসবুক পেজটি “সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার সময়সূচি” ফলো করে রাখুন এবং যে কোনো ধরনের চাকরির প্রস্তুতি ও গ্রুপ স্টাডি করতে জয়েন করুন “সরকারি চাকরির প্রস্তুতি ও গ্রুপ স্টাডি” গ্রুপে। ধন্যবাদ সবাইকে।
0 মন্তব্যসমূহ